শ্রমিক সংগঠনগুলো জানায়, একই প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন রাকেফ অ্যাপারেলস ওয়াশিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড, প্যাশন জিন্স লিমিটেড ও প্যাশন অ্যাপারেলস অ্যান্ড ওয়্যারস লিমিটেডে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন। শ্রমিকদের দুই মাসের ও কর্মচারীদের তিন মাসের বেতন এবং অন্যান্য পাওনা পরিশোধ না করেই গত ২০ ফেব্রুয়ারি কারখানা তিনটি বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
সে সময় আন্দোলন দমাতে কারখানা কর্তৃপক্ষ কয়েক ধাপে শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া পরিশোধ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। তারা বেতন দেওয়ার তারিখও নির্ধারণ করে নোটিশ দেন। সেই তারিখ পার হয়ে যাওয়ায় পোশাক শ্রমিকরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে বলে জানায় শ্রমিক সংগঠনগুলো।
ন্যাশনাল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি কবির হোসেন মোবাইল ফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘শ্রমিকরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। আমরা গতকাল কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করেছি। তারা কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। আজ আবার বিক্ষোভ শুরু হলে কারখানা কর্তৃপক্ষ বলেছে— আগামী ৩০ এপ্রিল পাওনাদি পরিশোধ করা হবে। কিন্তু শ্রমিকরা আস্থা রাখতে পারছেন না। তারা বলেছেন, বেতন না পাওয়া পর্যন্ত রাস্তায় ছেড়ে যাবেন না।’
কারখানার তিনটির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) শাকিল মাহমুদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করে প্রতিবারই তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
বকেয়া তিন মাসের বেতন-ভাতার দাবিতে আশুলিয়ার ইউনিক এলাকায় ওয়ার্ল্ড ওয়ান ডেনিম অ্যান্ড ওয়াশিং লিমিটেড কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে শতাধিক শ্রমিক বিক্ষোভ করছেন। গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু এ তথ্য জানিয়েছেন।