বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলছে এবং এর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। এমন পরিস্থিতিতে গ্রামীণ ব্যাংকের হতদরিদ্র (সংগ্রামী সদস্য/ভিক্ষুক) সদস্য পরিবারের মধ্যে গত ৮ এপ্রিল থেকে খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি শুরু করা হয় এবং ইতোমধ্যে ৮ হাজার ১৭১টি পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আগামী দুই মাসে ৩০ হাজার হতদরিদ্র সদস্য পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দেবে গ্রামীণ ব্যাংক। খাদ্য সহায়তা হিসেবে প্রতিটি পরিবারকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল, ৪ কেজি ডাল, ৮ কেজি আলু, ২ কেজি লবণ, ৪ কেজি পেঁয়াজ, ২ লিটার তেল, ৪টি সাবান ও নগদ ৬০০ টাকাসহ ৩ হাজার ২০০ টাকার সামগ্রী প্রদান করা হবে।
প্রতিটি পরিবারকে দুই মাসে দুইবার এ খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে ২৯ মার্চ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্যদের ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে সার্বিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক বিবেচনা করে সময় বাড়িয়ে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত কিস্তি আদায় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।