দেশটির ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিস্টিকস বৃহস্পতিবার এই তথ্য প্রকাশ করেছে। ১৯৮২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পর যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার এত ওপরে ওঠেনি। সিএনএন সূত্রে এই খবর পাওয়া গেছে।
আর খাদ্য ও জ্বালানি মূল্যস্ফীতি বাদে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের গড় মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৬ শতাংশ। এ ক্ষেত্রেও তা ১৯৮২ সালের পর সর্বোচ্চ।
কেবল জানুয়ারি মাসেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ—মৌসুমি সমন্বয়সহ। ডিসেম্বর মাসেও ঠিক এই হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সব ধরনের পণ্যমূল্যই এই সময়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাড়ির দাম, আসবাবের দাম, পুরোনো গাড়ি, চিকিৎসা খরচ—সবকিছুর দামই বেড়েছে।
আর কেবল জানুয়ারি মাসে খাদ্যমূল্য বেড়েছে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ এবং ডিসেম্বর মাসে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী, মহামারি শুরুর পর সারা বিশ্বে খাদ্যমূল্য ৪০ শতাংশের বেশি বেড়েছে (মূল্যস্ফীতি সমন্বিত নয়)। গত বছর উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় উন্নত দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি বেশি ছিল।
মূল্যস্ফীতির প্রভাব বেশ জটিল বলেই মনে করে আইএমএফ। উন্নত দেশগুলো বাড়তি মূল্যস্ফীতির কারণে ইতিমধ্যে প্রণোদনা তুলে নিতে শুরু করেছে। এতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ব্যাহত হচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর সমস্যা হচ্ছে, মূল্যস্ফীতি বাড়তি থাকলে পুঁজি চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সঙ্গে থাকে মুদ্রার বিনিময় হার কমে যাওয়ার শঙ্কা। এ ছাড়া শ্রম আয়ের ওপর নির্ভরশীল নিম্ন আয়ের মানুষেরাও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন। খাদ্য ব্যয় বেড়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় কুফল হলো, এতে মানুষ খাদ্য ব্যয় কমানোর চিন্তা করে। এতে বৈষম্য বেড়ে যায়।