এদিকে করোনার বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে যুক্তরাজ্য। গত বছরের শুরু থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে দেশটির অর্থনীতি। বিধিনিষেধ শিথিলের পর ভোক্তা চাহিদা রীতিমতো আকাশ স্পর্শ করে। তবে সরকারের বিপুল প্রণোদনার ওপর ভর করে দেশটির মানুষের চাহিদা ত্বরান্বিত হয়েছে। ভোক্তা চাহিদার ওপর ভর করে প্রবৃদ্ধির ধারায় ফেরে অর্থনীতির নানা খাত। খবর দ্য গার্ডিয়ানের
করোনার প্রথম ধাক্কায় ২০২০ সালে যুক্তরাজ্যের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৯ দশমিক ৪ শতাংশ সংকুচিত হয়। যদিও কোভিডের নতুন ধরন অমিক্রন সংক্রমণের কারণে ডিসেম্বরে পুনরায় মন্দায় পড়ে দেশটির অর্থনীতি। তবে আগের মাসগুলোতে ভালো করার কারণে প্রবৃদ্ধির পালে হাওয়া লাগে।
দেশটির অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস (ওএনএস) জানিয়েছে, ডিসেম্বর মাসে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক উৎপাদন দশমিক ২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যদিও এই সংকোচনের গতি প্রত্যাশার চেয়ে কম। বড়দিনের ছুটিতে দোকানে পণ্যের ঘাটতি ও রেকর্ডসংখ্যক চাকরির শূন্য পদ অর্থনীতির চাকা শ্লথ করে দেয়।
বছরের শেষ মাসে জিডিপি দশমিক ৬ শতাংশ সংকুচিত হবে বলে আশঙ্কা করেছিলেন অর্থনীতিবিদেরা। তবে যুক্তরাজ্যজুড়ে কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ বিতরণ ও পরীক্ষা কার্যক্রমে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির কারণে বড় মন্দা রোধ করা গেছে। বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও বছরের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ব্রিটিশ অর্থনীতি ১ শতাংশ বড় হয়েছে।
২০২০ সালে ধনী দেশগুলোর মধ্যে তাদের সংকোচন হয়েছিল সবচেয়ে বেশি—৯ দশমিক ৪ শতাংশ। সেখান থেকে পরের বছর ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন অবশ্য খুব বড় কিছু নয় বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। আন্তর্জাতিক তুলনামূলক হিসাবে দেখা যায়, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি এখনো ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের তুলনায় কিছুটা ছোট। তবে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির তুলনায় ব্রিটিশ অর্থনীতি এখন কিছুটা বড়।
যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমি জানি, মানুষ এখন ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়ে শঙ্কিত। বিশেষ করে জ্বালানির ব্যয় হু হু করে বাড়ছে। সে জন্য জ্বালানির দাম মেটাতে হিমশিম খাওয়া মানুষকে সহায়তা দিতে গত সপ্তাহে আমরা বড় আরেকটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি।’