সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে বৈশ্বিক পর্যায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার আপডেট দেওয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু এবং সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে রাশিয়াতে। রাশিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন এক লাখ ৭০ হাজার ৬৯৯ জন এবং মারা গেছেন ৭৪৫ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত এক কোটি ৫৩ লাখ ৭০ হাজার ৪১৯ জন শনাক্ত এবং মারা গেছেন তিন লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ জন।
একদিনে রাশিয়ার পর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে মেক্সিকোতে ৪৭০ জনের। এরপর ব্রাজিলে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৬২৫ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ২১২ জনে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৩৬২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৫০ লাখ ৪৮ হাজার ৭২ জন।
করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৫৬ জন এবং মারা গেছেন ২৮২ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৮ কোটি ৮৭ হাজার ৬১৭ জন শনাক্ত এবং ৯ লাখ ৫৯ হাজার ৪১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ কোটি ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ৯৫৫ জন।
জার্মানিতে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ১৩১ জন এবং মারা গেছেন ৬৫ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত ১ কোটি ৩৬ লাখ ২ হাজার ৪৩১ জন শনাক্ত এবং ১ লাখ ২১ হাজার ৮৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৬ লাখ ৭৩ হাজার ৭০০ জন।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা প্রতিবেশী দেশ ভারতে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২০৬ জন এবং নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৪৮৭ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ৪ কোটি ২৮ লাখ ৩৭ হাজার ৯৬০ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ১২ হাজার ১৪১ জন।
যুক্তরাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৬৯৬ জন এবং মারা গেছেন ৭৪ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত ১ কোটি ৮৬ লাখ ৫ হাজার ৭৫২ জন শনাক্ত এবং ১ লাখ ৬০ হাজার ৫৮১ জন মারা গেছেন। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৬৭ লাখ ১০ হাজার ৩২৪ জন।
ফ্রান্সে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৫৯ হাজার ৩ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২২ লাখ ৮৬ হাজার ৮২৯ জন করোনায় আক্রান্ত এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৩৬ হাজার ৫৯৪ জন।
এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় তুরস্কে ২৬৩ জন, ইতালিতে ১৪১ জন, ইরানে ২৪২ জন, পোল্যান্ডে ২৫ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৫০ জন, জাপানে ২০৩ জন, ইউক্রেনে ১৫২ জন, ফিলিপাইনে ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।