সোমবার বিকালে দোকান মালিক সমিতি জানায়, মঙ্গলবার (৫ মে) থেকে দোকানপাট খোলা হবে। যদিও এদিন সন্ধ্যায় সমিতির সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন বিষয়টিকে ভুল বুঝাবুঝি বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রথমে প্রজ্ঞাপনের কথা শুনে আমরা মঙ্গলবার (৫ মে) থেকে দোকানপাট খোলার কথা বললেও পুলিশের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করে জানানো হয়— ১০ মে দোকানপাট খোলার বিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। কিন্তু আমরা প্রজ্ঞাপনের কোনও কপিই হাতে পাইনি। আমরা এখন সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১০ মে থেকেই দোকানপাট ও শপিং মল খুলবো। সেই প্রস্তুতিই আমরা নিচ্ছি। কাগজপত্র তৈরি করছি।’
উল্লেখ্য, জনগণের চলাচলের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে রমজান ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সীমিত পরিসরে দোকানপাট, শপিং মল আগামী ১০ মে থেকে চালু রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৪ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও পুলিশ প্রশাসনকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে আদেশ জারি করা হয়। নির্দেশনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও শপিং মল খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে সাধারণ ছুটি চলাকালে রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া জনসাধারণকে ঘরের বাইরে বের না হওয়ার জন্য বলা হয়। এই সময় এক জেলা থেকে অন্য জেলায় জনসাধারণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে রমজান ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সীমিত পরিসরে দোকানপাট, শপিং মল চালু রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কবে থেকে দোকানপাট খোলা রাখা হবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে তা বলা ছিল না।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ রোগের বিস্তার রোধ এবং পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ৭ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ছুটিসহ) সাধারণ ছুটি/জনগণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা/সীমিত করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। উল্লিখিত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে শর্তসাপেক্ষে পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলাগুলো অভ্যন্তরীণভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য দোকানপাট শপিং মলসহ অন্যান্য কার্যাবলি আগামী ১০ মে থেকে খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানানো হলো। তবে এক্ষেত্রে আন্তঃউপজেলা যোগাযোগ ও চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
হাট-বাজার ব্যবসা কেন্দ্র দোকানপাট শপিং মলগুলো সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে সীমিত রাখতে হবে। সেইসঙ্গে প্রতিটি শপিং মলের প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘোষিত সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে।