গতকাল সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত বা মোড়কজাত চিনি খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা দরে। সরকারিভাবে এই প্যাকেটজাত চিনির দাম নির্ধারণ করা আছে প্রতি কেজি ১২৫ টাকায়; অর্থাৎ প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনির দাম ১৫ টাকা বাড়িয়েছে কোম্পানিগুলো। আর খোলা চিনির সরকারি দামও বাজারে কার্যকর নেই। যেমন সরকার যেখানে প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম নির্ধারণ করেছে ১২০ টাকা, সেখানে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা।
প্যাকেটজাত চিনির দাম বাড়ানোর বিষয়ে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও দেশবন্ধু গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গোলাম রহমান বলেন, দাম বাড়ানোর বিষয়ে সমিতি থেকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দাম বাড়িয়ে থাকলে কোম্পানিগুলো নিজেরাই বাড়িয়েছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সুপরিচিত দুটি ব্র্যান্ডের চিনির মোড়কের গায়ের দাম দেখা গেছে প্রতি কেজি ১৪০ টাকা। মোড়কের তথ্যানুযায়ী, দুটি ব্র্যান্ডের চিনির উৎপাদন তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ১৩ জুলাই; অর্থাৎ কোম্পানিগুলো একই সময়ে দাম বাড়িয়েছে।
রাজধানীর মৌলভীবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, চিনির বাজারে অস্থিরতা এখনো কাটেনি। চিনির দাম কখন বাড়ে বা কখন কমে, তা নিয়ে ব্যবসায়ীরা একধরনের শঙ্কায় ভুগছেন। এদিকে বাজারে অস্থিরতার কারণে চিনির বেচাকেনাও কমেছে।
রাজধানীর নিউমার্কেটের মুদিদোকান হৃদয় স্টোরের মালিক হৃদয় হোসেন বলেন, এক কেজির প্যাকেটজাত চিনির দাম ১৪০ টাকা করা হলেও, একই দামে প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি করতে হচ্ছে অনেক আগে থেকেই।
গত মাসের প্রথম দিকে সরকারের কাছে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি ১৪০ ও প্যাকেটজাত চিনি ১৫০ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছিল কোম্পানিগুলো। সরকার সেটি আমলে নেয়নি।
এরপর ২২ জুন থেকে চিনিকলের মালিকেরা প্রস্তাবিত ওই দামই কার্যকর করার সিদ্ধান্ত জানান। তাতে সরকার নড়েচড়ে বসে। মিলমালিকদের নিয়ে বৈঠক করে সরকার জানিয়ে দেয়, ঈদের আগে দাম আর বাড়ানো যাবে না।