বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে গতকাল ‘উইম্যান অ্যান্ড আইপি: এক্সিলারেশন ইনোভেশন অ্যান্ড ক্রিয়েটিভিটি’ শীর্ষক সেমিনার এবং জিআই পণ্যের সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন, ২০২২, বাংলাদেশ শিল্প-নকশা আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া ট্রেডমার্ক আইন, ২০০৯ সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এরই মধ্যে ইলিশ, জামদানি, রংপুরের শতরঞ্জিসহ ১৭টি পণ্যকে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতি লাভবান হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘নতুন উদ্ভাবন ও সৃষ্টিশীলতার প্রকাশই মেধাসম্পদ। আর এ উদ্ভাবন ও সৃষ্টিশীলতাকে উৎসাহিত করার সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। জাতি হিসেবে আমরা যত বেশি জ্ঞানভিত্তিক উদ্ভাবন ও সৃষ্টিশীলতাকে কাজে লাগাব, তত বেশি সমৃদ্ধির দিকে অগ্রসর হতে পারব।’ রাজধানীর একটি হোটেলে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) উদ্যোগে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ডিপিডিটির মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা। এতে আরো বক্তব্য রাখেন ডিপিডিটির সাবেক রেজিস্ট্রার সানোয়ার হোসেন।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত ১৭টি পণ্যকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে ১০টির সনদ আগেই প্রদান করা হয়েছে। গতকাল সাতটি ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের আবেদনকারীদের কাছে সনদ প্রদান করা হয়। রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আমের যৌথভাবে সনদ গ্রহণ করে ফল গবেষণা কেন্দ্র বিনোদপুর, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশন। এছাড়া বাংলাদেশের শীতল পাটির সনদ গ্রহণ করে বিসিক, বগুড়ার দইয়ের সনদ গ্রহণ করে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, বগুড়া, শেরপুরের তুলসীমালা ধানের সনদ গ্রহণ করে শেরপুর জেলা প্রশাসক, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম ও আশ্বিনা আমের সনদ গ্রহণ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র; নাটোরের কাঁচাগোল্লার সনদ গ্রহণ করেন নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।
অর্থসংবাদ/এসএম