রাজধানীর পুরানা পল্টনের ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রদর্শনীটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান আয়োজকেরা।
বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) এবং রেইনবো এক্সিবিশন অ্যান্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (রিমস) যৌথভাবে ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপোর আয়োজক। তারা জানায়, বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, থাইল্যান্ড, কোরিয়া, তাইওয়ান, চীন, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, জাপান, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, তুরস্ক, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়াসহ ২০টিরও বেশি দেশ থেকে শতাধিক প্রতিষ্ঠান প্রদর্শনীতে অংশ নেবে। এই প্রদর্শনীর পাশাপাশি ১১তম অ্যাগ্রো বাংলাদেশ এক্সপো ২০২৩ এবং ফুড ইনগ্রেডিয়েন্ট এক্সপো ২০২৩ নামে আরও দুটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মেলা কমিটির চেয়ারপারসন এবং প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশের কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাত অত্যন্ত ভালো করছে। এই খাত দেশে খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে যেমন কাজ করছে, তেমনি বিদেশে পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে। এই প্রদর্শনী কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাতে আমাদের সক্ষমতাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বাপার সাধারণ সম্পাদক মো. ইকতাদুল হক বলেন, বর্তমানে বাপার সদস্য সংখ্যা ৪৭৯। তারা বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য বিশ্বের ১৪০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি করছে। দেশের জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ২২ শতাংশ এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্য খাতের অবদান ২ শতাংশ। ২০২৫ সালের মধ্যে এই খাতের রপ্তানির পরিমাণ ২০০ কোটি ডলারে উন্নীত করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রেইনবো এক্সিবিশন অ্যান্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চানমোহন সাহা, বাপার সহসভাপতি আবদুল মাজেদ, পরিচালক নাজমুল হক, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আল এমরান, মাঈন উদ্দিন, সৈয়দ মো. মোস্তফা প্রমুখ।
অর্থসংবাদ/এমআই