মূসক বা ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মৌলি স্ন্যাক্সের কাছে পূর্বের ২ লাখ ৯৫ হাজার টাকার ভ্যাটের একটি অডিট আপত্তি ছিল। এই বকেয়া না দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটি নাম পরিবর্তন করে। ভ্যাট গোয়েন্দার একটি দল গত ১৯ অক্টোবর নিউ মৌলিতে অভিযান চালিয়ে বকেয়া ভ্যাট অনাদায়ের তথ্যপ্রমাণ পায়। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জুলফিকার আলী।
ভ্যাট গোয়েন্দা জানায়, অভিযানে রেস্টুরেন্টে উপস্থিত ভোক্তাদের সংখ্যা ও পরিশোধিত ভ্যাটে গরমিল পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট আইন অনুসারে মূসক-৬.৩ রেজিস্টার ও অন্যান্য হিসাব সংরক্ষণ করে না, কোনো ভোক্তাকে প্রকৃত ভ্যাট চালানও দেয় না। বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিষ্ঠানটির ৫৪ দিনের একটি কাঁচা চালানের বিক্রয় হিসাবে দেখা যায়, তাদের বিক্রির পরিমাণ ২৬ লাখ টাকা। তাতে ২ লাখ ১৭ হাজার টাকার ভ্যাট ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। আর ধানমন্ডি ভ্যাট সার্কেলে তারা প্রতি মাসে ভ্যাট জমা দিয়ে আসছে মাত্র ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। বাড়িভাড়া, সুদসহ আলোচ্য সময়ে নিউ মৌলি ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে ২ লাখ ৯২ হাজার টাকা। নিউ মৌলি রেস্টুরেন্টে ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৮-২০ পর্যন্ত মোট ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে প্রায় ৮৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা, এমনটাই দাবি করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা।
অন্যদিকে পান্থপথসংলগ্ন গ্রিন রোডের গ্রিন চিলি ফাস্ট ফুড অ্যান্ড মিনি চাইনিজে ভ্যাট চালান ছাড়াই খাদ্যপণ্য বিক্রয়ের অভিযোগ পেয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দা। ১৯ অক্টোবর অভিযানকালে রেস্টুরেন্টের পাঁচ মাসের কাঁচা রেজিস্টারে গোপন বিক্রয়ের তথ্য উদ্ধার করেন গোয়েন্দারা। তাতে ৭ লাখ ২৬ হাজার টাকার ভ্যাট ফাঁকির তথ্য মিলেছে। সব মিলিয়ে রেস্টুরেন্টটি গত ৫ বছরে ৩৮ লাখ ১৬ হাজার টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। দুটি রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেটকে অনুরোধ করে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর। পরে ভ্যাট আইনে দুটি পৃথক মামলাও হয়েছে।