এসওপিগুলো হলো শ্রম অভিযোগ ও তদন্ত, কারখানার লেআউট প্ল্যান অনুমোদন, প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন ও লাইসেন্স প্রদান প্রক্রিয়া এবং পেশাগত দুর্ঘটনা ও তদন্ত-সংক্রান্ত। এসওপিগুলোয় শ্রম পরিদর্শন এবং অধিদপ্তরের কার্যক্রম বাস্তবায়ন কৌশল প্রতিফলিত হয়েছে। অধিদপ্তরের সেবা প্রদানকে আরও সহজতর ও নিখুঁত করার জন্যই এসওপিগুলো তৈরি করা হয়েছে।
‘শ্রম অভিযোগ ও তদন্ত’বিষয়ক এসওপিতে শ্রম-সংক্রান্ত অভিযোগের প্রকারভেদ, অভিযোগ দাখিল পদ্ধতি, অভিযোগ তদন্ত পদ্ধতি, তদন্ত পরবর্তী কার্যক্রম ও অভিযোগের বিষয়গুলো আলোচিত হয়। ‘কারখানার লেআউট প্ল্যান অনুমোদন’-বিষয়ক এসওপিতে কারখানার লেআউট প্ল্যান অনুমোদনের আবেদন প্রক্রিয়া, লেআউট প্ল্যান অনুমোদন পদ্ধতি, কারখানার লেআউটের সংশোধন অথবা সম্প্রসারণের জন্য লেআউট প্ল্যান অনুমোদন প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ‘প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন ও লাইসেন্স প্রদান প্রক্রিয়া’বিষয়ক এসওপিতে শ্রম আইন ও বিধিমালার আলোকে প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন ও লাইসেন্স প্রদান পদ্ধতি বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া ‘পেশাগত দুর্ঘটনা ও তদন্ত’ বিষয়ক এসওপিতে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার তদন্ত বা অনুসন্ধান পদ্ধতি, তদন্ত সম্পর্কিত কৌশল, দুর্ঘটনার কারণ নির্ণয় ও পরবর্তী করণীয়, দুর্ঘটনা তদন্ত চেকলিস্ট, দুর্ঘটনা তদন্ত প্রতিবেদনের নমুনা সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায় বলেন, ‘শ্রম অভিযোগ ও তদন্ত, কারখানার লেআউট প্ল্যান অনুমোদন, প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন ও লাইসেন্স প্রদান প্রক্রিয়া, পেশাগত দুর্ঘটনা ও তদন্তবিষয়ক এসওপিগুলোর চূড়ান্ত অনুমোদনের মাধ্যমে অধিদপ্তরের সেবা প্রদান আরও সহজতর হলো। জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অধিদপ্তর একধাপ এগিয়ে গেল।’
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কারিগরি সহায়তায় এবং উন্নয়ন সহযোগী দেশ কানাডা, নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাজ্যের আর্থিক সহায়তায় উপর্যুক্ত এসওপিগুলো চূড়ান্ত হয়েছে।