তামার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জে

তামার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জে
দিন দিন তামার বাজার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জে তামার দাম টন প্রতি ৭ হাজার ৪৬০ ডলার ছাড়িয়েছে। বাড়তি চাহিদার বিপরীতে করোনাকালে ব্যবহারিক ধাতুটির বৈশ্বিক উত্তোলন সীমিত হয়ে আসায় আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম বাড়তির দিকে রয়েছে। খবর মেটাল বুলেটিন ও বিজনেস রেকর্ডার।

এপ্রিল থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে তামার বাজার। আট মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে ব্যবহারিক ধাতুটির দাম বেড়েছে। বাড়তে বাড়তে চলতি মাসে এলএমইতে প্রতি টন তামার দাম ৭ হাজার ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়েছে। আগামী দিনগুলোয় তামার দাম আরো বাড়তে পারে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

এলএমই প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী, ২৭ নভেম্বর ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন তামা ৭ হাজার ৪৬২ ডলারে বিক্রি হয়েছে। এর আগের দিনও ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন তামার দাম ছিল ৭ হাজার ৩৫৬ ডলার ৫০ সেন্ট। একদিনের ব্যবধানে ব্যবহারিক ধাতুটির দাম বেড়েছে ১০৫ ডলারের বেশি। এক মাস আগেও এলএমইতে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন তামার দাম ৬ হাজার ৮০০ ডলারের নিচে ছিল।

গত ২৭ অক্টোবর ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন তামা বিক্রি হয়েছিল ৬ হাজার ৭৮৭ ডলার ৫০ সেন্টে। ৯ নভেম্বর ব্যবহারিক ধাতুটির দাম ৭ হাজার ডলারের মাইলফলক ছুঁয়ে যায়। ওইদিন ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন তামা বিক্রি হয় ৭ হাজার ১১৩ ডলারে। এর পর থেকে ক্রমান্বয়ে বাড়তির পথে রয়েছে তামার দাম। ২৩ নভেম্বর এলএমইতে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন তামা ৭ হাজার ২১৫ ডলার ৫০ সেন্টে বিক্রি হয়। পরদিন তা আরো বেড়ে টনপ্রতি ৭ হাজার ৩০২ ডলারে উন্নীত হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যেও তামার চাহিদা বাড়তির দিকে রয়েছে। বিশেষত চীনা অর্থনীতির গতি ঊর্ধ্বমুখী থাকায় দেশটিতে ব্যবহারিক দাতুটির চাহিদা চাঙ্গা রয়েছে। সেই তুলনায় বাড়েনি তামার বৈশ্বিক উত্তোলন। বরং দেশে দেশে লকডাউন ব্যবহারিক ধাতুটির উত্তোলন কমিয়েছে। ২০১৪ সালের পর এবারই তামার বৈশ্বিক উত্তোলন সবচেয়ে কমে এসেছে। বাড়তি চাহিদার বিপরীতে উত্তোলন সীমিত হয়ে আসার এ পরিস্থিতি এলএমইতে তামার দাম চাঙ্গা করে তুলেছে।

তবে চলতি বছরের শুরুতে তামার দামে বিপরীত চিত্র বজায় ছিল। বছরের প্রথম কার্যদিবসে এলএমইতে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন তামার দাম ছিল ৬ হাজার ১৬৫ ডলার। করোনা মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে ব্যবহারিক ধাতুটির দাম কমতে শুরু করে। বিশেষত ফেব্রুয়ারি-মার্চে যখন করোনা মহামারী চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোয় চরম আকার নিয়েছে, তখন বছরের সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে আসে তামার দাম।

জানুয়ারিতেই প্রতি টন তামার দাম ৫ হাজার ডলারের ঘরে নেমে আসে। ফেব্রুয়ারিতে তা আরো কমে টনপ্রতি ৪ হাজার ডলারের ঘরে নামে। এ ধারাবাহিকতায় ২৩ ফেব্রুয়ারি এলএমইতে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন তামা ৪ হাজার ৬১৭ ডলার ৫০ সেন্টে বিক্রি হয়। চলতি বছর এটাই ব্যবহারিক ধাতুটির সর্বনিম্ন দাম।

অর্থসংবাদ/এসএ/১৩:১৫/১১:৩০:২০২০

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পোশাকখাতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে, কমে গেছে চাহিদা
২০২৩ সালে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১৩ শতাংশ
২০২৩ সালে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ১০ শতাংশ
ইভ্যালিতে বড় অফার আজ, ১০ টাকায় মিলবে পাঞ্জাবি
হিলিতে আদা-সবজিতে স্বস্তি, বাড়তি দামে রসুন
বাংলাদেশে বিনিয়োগের ঐক্যমতে শেষ হলো গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্স
১১ মাসে ৪৩ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি
২০২৪ সালে ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর
আইসিএবির নতুন সভাপতি ফোরকান উদ্দীণ
বিসিক শিল্পনগরীতে এক হাজার ৯৮ প্লট খালি