মহামারীর করোনাভাইরাসের কারণে চীনের বাজারে মালয়েশিয়া থেকে পাম অয়েল রফতানি কমে গিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে গত অক্টোবরে বৈঠক করেছেন মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো সেরি হিসামুদ্দিন। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, চীনের বাজারে ২০২৩ সালের মধ্যে নতুন করে ১৭ লাখ টন পাম অয়েল রফতানি করবে মালয়েশিয়া। এ প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে মালয়েশীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।
ভারত একসময় রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিরোধের জের ধরে মালয়েশীয় পাম অয়েল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছিল। বিকল্প বাজার হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার প্রতি ঝুঁকেছিল দিল্লি। এ পরিস্থিতিও বদলাতে শুরু করেছে। এ ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ভারত জানিয়েছে, পাম অয়েলের আমদানি শুল্ক কমিয়ে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। আগে পাম অয়েল আমদানিতে ভারতীয় আমদানিকারকদের ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে শুল্ক দিতে হতো। আমদানি শুল্ক কমানো হলে ভারতের বাজারেও মালয়েশীয় পাম অয়েল রফতানি বাড়বে বলে আশা করছেন মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ী ও রফতানিকারকরা। তা প্রভাব ফেলবে পণ্যটির মূল্য নির্ধারণে।
এ সম্পর্কে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন ও ভারতের বাজারে পাম অয়েল রফতানি বাড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে মালয়েশীয় পাম অয়েল শিল্পের বিরুদ্ধে আরোপিত বৈষম্যমূলক নীতি প্রত্যাহারের বিষয়ে ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গেও আলোচনা চলমান রয়েছে। সব মিলিয়ে আগামী দিনগুলোয় মালয়েশিয়া থেকে পণ্যটির রফতানিতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকতে পারে, যা মালয়েশীয় পাম অয়েলের দাম আরো বাড়াবে।
অর্থসংবাদ/এসএ/১৪:১৫/১১:৩০:২০২০