অর্থাৎ ২০০৮ সালে ১৭ দশমিক ৫৯ মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি দিয়ে শুরু হলেও ২০২০-এ এসে দাঁড়িয়েছে ৮৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলারের রফতানি।
শুধু রফতানিই বাড়েনি, বেপজা এলাকায় বিনিয়োগ বেড়েছে সাড়ে ৩ গুণ। কর্মসংস্থান ও শিল্প বেড়েছে ২ গুণ। বেপজার প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, করোনাকালে যখন বিশ্ব অর্থনীতি থমকে গিয়েছিল, তখন বেপজা এলাকায় বিনিয়োগ এসেছে উল্লেখযোগ্যহারে। ২৪৮ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ এসেছে। চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, জার্মানি, যুক্তরাজ্যের মতো দেশ থেকে বিনিয়োগে আসে। এছাড়া নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে ১২টি।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের ৮টি ইপিজেডে মোট ৪৬৩টি শিল্প কারখানা চালু রয়েছে। বাস্তবায়ন হয়েছে আরও ৬৮টি কারখানা। বিনিয়োগ রয়েছে ৫৫১৬ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন ডলার। আর রফতানির পরিমাণ ৮৪৭৮১ দশমিক ৬১ মিলিয়ন ডলার। এখন পর্যন্ত ইপিজেডে ৪ লাখ ২৩ হাজার ৫০১ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে।
অন্যদিকে মহামারিতে ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই) উৎপাদনে উৎসাহিত ও সাহায্য করেছিল বেপজা। ফলে বেপজা প্রতিষ্ঠানগুলো এ খাতের বড় রফতানিকারক।
এছাড়া দেশের ইপিজেডগুলোতে শ্রমিকদের যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য সার্বক্ষণিক হেল্পলাইন (১৬১২৮) সেবা চালু করেছে বেপজা। রোববার (২৮ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত বেপজা কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সেবা উদ্বোধন করা হয়। একযোগে আটটি ইপিজেডে এই সেবা চালু করা হয়।