সোমবার (১২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল।
এর আগে দাম ঘোষণার বিষয়ে রোববার বিইআরসির ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়। দেশে এলপিজির মূল্য নির্ধারণে গত জানুয়ারিতে প্রথম গণশুনানি করে জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। নিয়ম অনুযায়ী ৯০ দিনের মূল্য ঘোষণা করতে হয়, তারই অংশ হিসেবে এ ঘোষণা দেয় সংস্থাটি।
সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল বলেন, গণশুনানি শেষে সবকিছু বিচার-বিবেচনা ও দাখিল করা তথ্য যাচাই করে একাধিক সভার মাধ্যমে দাম চূড়ান্ত করেছে কমিশন। এই দাম আজ থেকে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে।
বিইআরসির আদেশে আরও বলা হয়, গাড়িতে ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের দাম প্রতি লিটার ৪৭ টাকা ৯২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, দাম সারাদেশে অভিন্ন থাকবে। ভোক্তারা বাড়তি দাম দেবেন না। কমিশনের আদেশ বাস্তবায়ন করতে লাইসেন্সধারীরা বাধ্য। অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিইআরসির সদস্য মোহম্মদ আবু ফারুক, মকবুল ই ইলাহি চৌধুরী, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো বিশ্বের বৃহত্তম তেল কোম্পানি সৌদি আরামকোর মূল্যকে ভিত্তি করে দেশে এলপি গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ করে থাকে। কিন্তু নানা সময়ে ঘোষণা ছাড়াই বেসরকারি কোম্পানিগুলো দাম নির্ধারণ ভোক্তরা বিড়ম্বনায় পড়েন। অতিরিক্ত দাম নেয়ার অভিযোগ রয়েছে ক্রেতাদের দিক থেকে। ফলে বেসরকারিভাবে বাজারজাতকৃত এলপিজির দাম নির্ধারণে উদ্যোগ নেয় বিইআরসি। এরই ধারাবাহিতকতায় সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে এ ঘোষণা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এলপি গ্যাস লিমিটেড বোতলজাত তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজি বাজারজাত শুরু করে। ১৯৯৬ সালে এই ব্যবসায় যুক্ত হয় বেসরকারি উদ্যোক্তারা।