শনিবার (১২ জুন) তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি। ফারুক হাসান বলেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্যাটাগরিতে বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি কারখানার ৩৯টিই বাংলাদেশে অবস্থিত। আরও প্রায় ৫০০টি কারখানা সার্টিফিকেশনের অপেক্ষায় আছে। এই অর্জন সম্ভব হয়েছে দেশের তৈরি পোশাকশিল্প উদ্যোক্তাদের দূরদর্শীতা ও প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও উদ্যোগের কারণে।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, পোশাকখাতে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার পর আমরা শিল্পটিকে পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জ নেই। বিগত প্রায় এক দশকে আমাদের উদ্যোক্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, নিরাপত্তা খাতে হাজার কোটি টাকা ব্যয় এবং সরকার-ক্রেতা-উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় আজ বাংলাদেশের পোশাকশিল্প একটি নিরাপদ শিল্প হিসেবে বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে নিজের অবস্থান তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, পরিবেশ ও শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা শিল্পে আমূল পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের এই উদ্যোগ ও অর্জন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এ খাতে নিরাপদ, টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নে গর্ব করার মতো কিছু অর্জন তুলে ধরতে চাই। হংকংভিত্তিক আন্তর্জাতিক অডিট প্রতিষ্ঠান ‘কিউআইএমএ’-এর মতে এথিকাল সোর্সিংয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় শীর্ষস্থানে। মূলত গ্লোবাল সাপ্লাই চেইনের গুণগত মান, কমপ্লাইয়েন্স, কর্মঘণ্টা ও শ্রম মানের বিভিন্ন দিক মূল্যায়ন করে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি এমন একটি সময়ে এসেছে যখন করোনার মহামারির কারণে এ শিল্পে একটি সংকটময় সময় পার করছে। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও এই অর্জন নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।