বিজিএমইএ বলছে, কারখানা খোলা থাকলে শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করবে। আর কারখানা বন্ধ থাকলে শ্রমিকরা গ্রামের বাড়ি যেতে চাইবে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। শ্রমিকদের মধ্যেও করোনা ছড়িয়ে পড়বে। শ্রমিকদের স্বার্থেই কারখানা খোলা রাখা জরুরি।
বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান জানান, লকডাউনে কারখানাগুলো বন্ধ হলে অর্ডার বাতিল হবে, বায়াররা চলে যাবে। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের সুযোগ কমে যাবে। পোশাক খাতসহ দেশের অর্থনীতি পিছিয়ে যাবে। এ কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পোশাক কারখানা খোলা রাখতে চায় পোশাক রপ্তানিকারক ও মালিক সমিতি।
করোনা বেড়ে যাওয়ায় আগামী সোমবার থেকে সারাদেশে সাত দিন কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এসময় সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। বিধিনিষেধের বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানাতে আজ শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আদেশ জারি করা হবে।
এমন পরিস্থিতিতে পোশাক কারখানা যেন চালু থাকে সে দাবি জানানো হয় বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে।
বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান জানান, লকডাউনে কারখানাগুলো বন্ধ হলে অর্ডার বাতিল হবে, বায়াররা চলে যাবে। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের সুযোগ কমে যাবে। পোশাক খাতসহ দেশের অর্থনীতি পিছিয়ে যাবে। এ কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা পোশাক কারখানা খোলা রাখতে চাই।
উদ্যোক্তারা বলছেন, কারখানা বন্ধ হলে শিপমেন্ট বন্ধ হবে এতে ব্যাংক তাদের টাকা দেবে না। তাছাড়া আসন্ন ঈদে কর্মীদের বেতন-বোনাসসহ আগামী মাসের (জুলাই) ১৫ দিনের বেতন দেয়াও তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। এ অবস্থা বিবেচনায় রফতানিমুখী কারখানা লকডাউনের আওতার বাইরে আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।