ওয়াল্ট ডিজনির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে একে সময়োচিত পদক্ষেপ বলেছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। দেশের পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ স্থানীয় এ সংস্থার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানা যায়।
কর্ম-পরিবেশের নিরাপত্তা, সামাজিক মান ও পরিবেশগত টেকসই হওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সকল পর্যায়ে ব্যাপক উন্নতি ও পরিবর্তনের অর্জনকে স্বীকৃতি দিয়ে ওয়াল্ট ডিজনি কর্তৃক এই পদক্ষেপ গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি।
বিজিএমইএ এর বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা- আইএলও'র বেটার ওয়ার্ক বাংলাদেশ প্রোগ্রামে কারখানাগুলো বিক্রেতা (ভেন্ডর) হিসেবে স্বীকৃত হবে, তবে এজন্য তাদের আগে নির্দিষ্ট সংস্কার মানদন্ড সহকারে 'নিরাপন' বা আরএমজি সাস্টেইনিবিলিটি কাউন্সিলে (আরএসসি) যুক্ত হতে হবে।
অগ্নি, বৈদ্যুতিক এবং স্থাপত্য বিষয়ক সুরক্ষা নিশ্চিতে পোশাক শিল্প বিগত কয়েক বছরে অনেক উদ্যোগ গ্রহণ ও বিনিয়োগ করেছে। একইসঙ্গে, কারখানা সংস্কার কার্যক্রম নিবিড়ভাবে চালিয়ে গেছে। শ্রমিক কল্যাণ নিশ্চিতের পাশাপাশি সুরক্ষার সংস্কৃতি তৈরির লক্ষ্যেই এসব করা হয়ে বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ।
সমগ্র সুরক্ষা রূপান্তর কর্মসূচিটি বাংলাদেশ সরকার, আইএলও, আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড, সরবরাহকারী এবং গ্লোবাল ইউনিয়নগুলো স্বচ্ছভাবে সমর্থন করেছিলো এবং এতে সহায়তা দিয়েছিল।
হংকংভিত্তিক সাপ্লাই চেইন কমপ্লায়েন্স সল্যুশনস প্রোভাইডার- কিউমা'র সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ 'এথিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং' দেশ হিসেবে স্থান দিয়েছে। এই রেটিংয়ে স্বাস্থ্যবিধি, স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা, শিশু ও তরুণ শ্রমিক, বাধ্যতামূলক শ্রমসহ- শ্রম বিষয়ক চর্চাগুলো, শ্রমিক প্রতিনিধিত্ব, শৃঙ্খলাবদ্ধ অনুশীলন এবং বৈষম্য, কর্ম ঘন্টা ও মজুরি এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতো সূচকগুলো অন্তর্ভূক্ত করেছিল সংস্থাটি।
সমীক্ষাটি এমন সময়ে পরিচালিত হয়, যখন কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী ফ্যাশন শিল্প ও সরবরাহ চেইনকে ব্যাহত করেছিল। এই দুঃসময়ে সময়ে সুষ্ঠুভাবে কমপ্ল্যায়েন্স প্রতিপালন শিল্পের সকল পরিস্থিতিতে দৃঢ়তা ধরে রাখতে আমাদের প্রতিশ্রুতির কথাই তুলে ধরছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।