ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
চলতি বছর ব্যবসায়ীদের জন্য সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রেখেছে সরকারি মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক আর বেসরকারির মধ্যে ইসলামী ব্যাংক। রাষ্ট্রায়ত্ত এ ব্যাংকটি এবার ব্যবসায়ীদের জন্য ২২৭ কোটি টাকার ঋণ বরাদ্দ রেখেছে। এরপর রয়েছে- জনতা ব্যাংক ১৪০ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংক ১২০ কোটি টাকা এবং সোনালী ব্যাংক ২৫ কোটি টাকা।
আর বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক ৬৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রেখেছে। এছাড়াও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক আড়াই কোটি টাকা, এনসিসি ব্যাংক ৫০ লাখ টাকা এবং দি সিটি ব্যাংক ২০ লাখ টাকা ব্যবসায়ীদের চামড়া কিনতে বরাদ্দ রেখেছে।
ব্যবসায়িরা বলছেন, নানা জটিলতায় তারা ব্যাংক থেকে নতুন ঋণ পাচ্ছেন না। আর আড়তদারা বলছেন, বকেয়ার প্রায় দেড়শ কোটি টাকা দিতে টালবাহানা করছেন ট্যানারি মালিকরা। তাই এবারও গরীবের হক নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ খাত। প্রতিবছর চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে দেশে আসে প্রচুর ডলার।
দেশে বছরে যে কাচা চামড়া হয়, তার ৬০ শতাংশ জোগান আসে কোরবানীর ঈদে জবাই করা পশু থেকে। ব্যবসায়িরা যাতে মাঠ পর্যায় থেকে তা সংগ্রহ করতে পারেন তার জন্য এবার ৫৮৩ কোটি টাকার তহবিল হয়েছে।
গত ঈদে কাচা চামড়া বেচাকেনায় বরাদ্দ ছিলো ৬৪৪ কোটি টাকা। নানা জটিলতায় তা বিতরণ করা যায়নি। ব্যবসায়িরা পেয়েছিলেন ৬৫ কোটি টাকা।
আড়তদাররা চান ট্যানারি মালিকরা বকেয়া পরিশোধ করুক ঈদের আগেই। সব ঠিক থাকলে এবছর এক কোটি পশু জবাই হতে পারে।