বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, ‘রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক কর্মচারীদের বেতনের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। সেটা দিয়ে এপ্রিল, মে ও জুন মাসের বেতন দেওয়া হবে। সেটির সম্পূর্ণ গাইডলাইন বাংলাদেশ ব্যাংক ইস্যু করেছে। আশা করছি এপ্রিলের বেতন চলতি মাসের শেষ তারিখেই দিতে পারব। আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রী যেসব প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছেন এগুলো বাস্তবায়ন করলে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। আমরা কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছাতে পারবো।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আরও বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব উত্তরণে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যাপ্ত তারল্যের জোগান স্বাভাবিক রাখাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। এই তারল্য অর্থনীতির বিভিন্ন খাত উপখাতে সুষ্ঠুভাবে সঞ্চালন নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশ ব্যাংক বেশ কয়েকটি পুনঃঅর্থায়নের তহবিলের আকার বৃদ্ধি করেছে। ১ এপ্রিল থেকে তফসিলি ব্যাংকে ক্যাশ রিসার্ভ রেশিও হার (সিআরআর) হ্রাস করে, সাপ্তাহিক গড় ভিত্তিতে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। আগে তা ৫.৫ শতাংশ ছিল। এর ফলে ব্যাংকসমূহ অতিরিক্ত ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা তাদের হাতে জমা থাকবে। যা দিয়ে তারা তারল্য সংকট মেটাবে। ব্যাংকিং খাতে পর্যাপ্ত তারল্য নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুদ হার বার্ষিক শতকরা ৬ ভাগ থেকে ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়েছে। যার ফলে ব্যাংকের তারল্য জোগাড় করতে কম ব্যয় হবে। ’