এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের কাছে এ সংক্রান্ত দাবি সংবলিত চিঠি হস্তান্তর করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থার সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) এফবিসিসিআই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ সময়ে সংস্থার সিনিয়র সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল, সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু ও সাবেক প্রধান উপদেষ্টা গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি উপস্থিত ছিলেন।
চিঠিতে জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে তাপানুকূল লঞ্চ সার্ভিসের বিপরীতে ৫ শতাংশ হারে মূসক আরোপ করা হয়েছিল। কিন্তু গত অর্থবছরে এই হার বাড়িয়ে দ্বিগুণ ১০ শতাংশ করা হয়।
চিঠিতে বলা হয় নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এই চার মাসে এসি ব্যবহার করা হয় না। উপরন্তু ভোক্তা কর হওয়া স্বত্ত্বেও, যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা না নিয়েই, মালিকরা নিজস্ব অর্থায়ন থেকে ভ্যাট পরিশোধ করেন।
নদীর নাব্যতা সংকট ও যাত্রী স্বল্পতার কারণে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রুটে লঞ্চ পরিচালনা বন্ধসহ দেড় থেকে দুই গুণ ঘুরে লঞ্চগুলোকে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে হচ্ছে। করোনা মহামারির সংকটকালেও যাত্রীবাহী নৌযানের ভাড়া বাড়ানো হয়নি।
এ অবস্থায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নৌযানের উপর থেকে মূসক প্রত্যাহারের জন্য এনবিআর’র কাছে সুপারিশ করতে এফবিসিসিআই সভাপতিকে অনুরোধ করে সংগঠনটি।
সাক্ষাতে লঞ্চ মালিক নেতাদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন এফবিসিসিআই সভাপতি।