মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিজিএমইএর পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের দীর্ঘদিনের অংশীদার হিসেবে কিক্ তার সামাজিক দায়িত্ববোধের অংশ হিসেবে এই অনুদান দিয়েছে। কিক বাংলাদেশ থেকে পোশাক কেনা ছাড়াও বহু বছর ধরে দেশের সামাজিক প্রকল্পগুলোর সঙ্গে যুক্ত আছে এবং তারা বিদ্যালয় ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মতো বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছে।
কিক-এর সিইও প্যাট্রিক যাহন বলেন, আমাদের বহু বছরের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ফল হিসেবে আমরা দেশটিতে, বিশেষ করে এদেশের পোশাক শিল্পে করোনা মহামারির প্রভাব নিয়ে অত্যন্ত সচেতন রয়েছি। এ শিল্পে কর্মীরা আবদ্ধ স্থানে (ইনডোর) কাজ করে, যেখানে সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। আমি মনে করি, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় টিকা সবচেয়ে বেশি সুরক্ষা দিতে পারে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমাদের এ অনুদান দিয়ে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের কর্মীদের করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সবচেয়ে ভালো পন্থায় সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা ভূমিকা রাখতে চাই।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান জার্মান ব্র্যান্ডের এ উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পোশাক শিল্প সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে অবদান রাখছে। করোনা মহামারির প্রভাবে এ খাতটি ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এ ক্ষতি এখনও সামলে উঠতে পারে নাই। এদেশের অর্থনীতিকে সুরক্ষিত রাখার জন্য সব শ্রমিক ও কর্মচারীদের টিকা পাওয়া অত্যন্ত জরুরি। জার্মান কোম্পানি কিক্’কে এই অনুদানের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তাদের এ অনুদান বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের টিকাদানে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলেও উল্লেখ করেন বিজিএমইএ সভাপতি।