বুধবার (৩১ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘খাদ্যপণ্য, সার ও জ্বালানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি। তাই রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করলে ওয়াশিংটনের আপত্তি থাকার কথা নয়। কাজেই আমি তার কথা ধরে বলছি, বাংলাদেশের আমদানির ক্ষেত্রে আপত্তি থাকবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে কিছু কূটনৈতিক শিষ্টাচার (ডিপলোমেটিক নরমস) থাকে। কিন্তু সরলভাবে আমি যেটা বুঝি, একজন মন্ত্রী পর্যায়ে যখন এটা বলা হলো, তার একটি গুরুত্ব রয়েছে।’
এর আগে গত সপ্তাহে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক থেকে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়। তখন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সাংবাদিকদের জানান, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি সম্ভব নয়।
কিন্তু জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের বাজার এমন অস্থিতিশীল যে আগামী সময়ে দেশে কবে কত টাকা দাম কমবে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারবেন না।’ রাশিয়া থেকে তেল আসলেই রাতারাতি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এমনটি তিনি মনে করেন না।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জ্বালানি সংকট সমাধানে আমরা দেশীয় জ্বালানির উৎপাদন বাড়াতে গত ৫ বছরে ৩৪টি কূপ খনন করা হয়েছে। গত বছরই আমরা চারটি কূপ খনন করেছি। বাংলাদেশে অনুসন্ধান হয়নি এই যে কথা বলা হয়, এটা ঠিক নয়।
তিনি বলেন, ‘দেশের স্থলভাগে আমরা বাপেক্স ছাড়া আর কাউকে অনুসন্ধান কাজ করতে দিচ্ছি না। যদিও ভোলায় এই বিধিনিষেধের মধ্যেই গ্যাজপ্রমকে কাজ দেওয়া হয়েছে।’