হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে ভারত থেকে নাসিক ও ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। শনিবার বন্দরে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ হঠাৎ করে বেড়ে ৬০ টাকায় উঠে যায়। বর্তমানে তা কমে ৫০ থেকে ৫১ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া নাসিক জাতের যে পেঁয়াজ ৬৫ টাকায় উঠেছিল, বর্তমানে তা কমে প্রকারভেদে ৫৫ থেকে ৫৭ টাকায় নেমেছে।
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা এক পাইকার বলেন, পেঁয়াজের শুল্কায়ন মূল্য বৃদ্ধির খবরে গত শনিবার হঠাৎ করেই পেঁয়াজের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে যায়। এক লাফে দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকার মতো বেড়ে যায়। বাড়তি দামের কারণে আমরা যেসব মোকামে পেঁয়াজ পাঠাই তারা কেউ পেঁয়াজ কিনতে সাহস পাচ্ছিলেন না। বর্তমানে পেঁয়াজের দাম কমায় আবারো মোকামগুলোয় পেঁয়াজ ক্রয়াদেশ মিলছে।
অন্য পাইকার সাইফুল ইসলাম বলেন, বন্দর দিয়ে গত কয়েকদিনের তুলনায় পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে। এতদিন ৩০ থেকে ৩৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও সোমবার বন্দর দিয়ে ৫০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি ক্রেতা সংকট থাকায় বর্তমানে পেঁয়াজের দাম কমতির দিকে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, ১৯ আগস্ট পেঁয়াজ রফতানিতে ৪০ ভাগ শুল্ক আরোপ করে ভারত সরকার। এতে করে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা বাড়তি শুল্ক পরিশোধ করায় দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত আছে। তবে ভারতে শুল্ক আরোপের কারণে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি ওঠানামা করছে। বর্তমানে বন্দর দিয়ে আমদানি খানিকটা বেড়েছে। সোমবার বন্দর দিয়ে ৫০টি ট্রাকে ১ হাজার ৪৮৮ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। রোববার আমদানি হয় ৮৯৩ টন।
অর্থসংবাদ/এমআই