বাগেরহাট জেলায় উৎপাদিত চিংড়ির ৯০ শতাংশই রফতানি হয় বিদেশে। সম্ভাবনাময় এই শিল্পে একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বৈশ্বিক মহামারি করোনায় রফতানি কমে যাওয়ায় চিংড়ি চাষিরা চরম ভােগান্তিতে পড়েছেন।
ভরা মৌসুমে ঘের থেকে গলদা চিংড়ি ধরে বাজারে বিক্রি করতে গিয়ে দাম কম পাওয়ায় চাষিরা উদ্বিগ্ন। এক সপ্তাহে আকারভেদে প্রতি কেজি গলদা চিংড়ির দাম ২০০-৩০০ টাকা কমেছে। চিংড়ি চাষিদের অভিযোগ, মাছের খাবার ও আনুষঙ্গিক সবকিছুর দাম বাড়লেও গলদার দাম কমায় লোকসানের মুখে পড়েছেন চিংড়ি চাষিরা।
জনপ্রতিনিধির দাবি, মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের কারণে লাভের মুখ দেখতে পায় না চাষিরা। তাই চিংড়ি শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার দাবি জানান মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিটলার গোলদার।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. খালেদ কনক জানিয়েছেন, তবে আতঙ্কিত না হয়ে কিছুদিন ধৈর্য ধরার আহ্বান রফতানি প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হলে দাম বৃদ্ধি পাবে।
জেলায় ৬৬ হাজার ৭১৩ হেক্টর জমিতে ৭৮ হাজার ৬৮৫টি বাগদা ও গলদা চিংড়ির ঘের রয়েছে। গত অর্থবছরে সাড়ে ৩৩ হাজার টন চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এসএ