বুধবার বগুড়ায় বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির এক জরুরী সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক কে এম লায়েক আলী, সিনিয়র সহসভাপতি মোহন পটোয়ারী, উপদেষ্টা এরফান আলী, নওগাঁ জেলা সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন, নেত্রকোনা জেলা সভাপতি এইচ আর খান ও সাধারণ সম্পাদক উজ্জল সাহা, বগুড়া জেলা সভাপতি এটিএম আমিনুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা সভাপতি নাজির হোসেন, কেন্দ্রীয় সাংগাঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজসহ কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন জেলার নেতৃবৃন্দ।
সভায় বক্তারা বলেন , করোনার মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মিল মালিকরা চাল কল চালু রেখেছিল। বিগত দু’মওসুম ধরে সরকারকে সহযোগিতা করতে গিয়ে বেশী দামে ধান কিনে কম দামে চাল সরবরাহ করে লোকসান দিতে হচ্ছে। আর লোকসান দেযা সম্ভব নয়। তাই সরকারের ৩৭ টাকা কেজি দরে চাল দেয়া সম্ভব না। কারণ বাজারে ধানের দাম বেশী। নেতৃবৃন্দ বলেন, মিলারদের দাবি খাদ্য মন্ত্রী,সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হবে।
উল্লেখ্য, চলতি আমন মৌসুমে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান, ৩৭ টাকা কেজি দরে সিদ্ধ চাল এবং ৩৬ টাকা কেজি দরে আতপ চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমন মৌসুমে দুই লাখ টন ধান, ছয় লাখ টন সিদ্ধ চাল এবং ৫০ হাজার টন আতপ চাল সংগ্রহ করবে সরকার। সব মিলিয়ে সাড়ে আট লাখ টন ধান ও চাল সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে।
কিন্তু এ দামে সরকারকে চাল সরবরাহ করা সম্ভব নয় জানিয়ে বক্তারা বলেন, গত ইরি মৌসুমে মিল মালিকরা লোকসান দিয়ে চাল সরবরাহ করেছেন। করোনাকালে চালকল মালিকরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই এবার আর কোনোভাবেই ভর্তুকি বা লোকসান দিয়ে চাল সরবরাহ সম্ভব নয়। সরকারকে চাল দিতে চাই। লাভের প্রয়োজন নেই। গত বছর লোকসান করেছি। এবার লোকসান দিয়ে সরকারের বেঁধে দেয়া মূল্যে চাল দিতে পারব না। চালের মূল্য সরকারকে পুনরায় নির্ধারণ করে দিতে হবে। বর্তমানে ধানের দাম অনুসারে চালের মূল্য দিতে হবে ৪২-৪৪ টাকা কেজি। সেখানে ৩৭ টাকা কেজি দরে চাল দিলে মিল মালিকদের লোকসান গুনতে হবে। সভায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কেএম লায়েক আলী বলেন, ৪ শতাংশ চাল সরকার আমদানি করে আর ৯৬ শতাংশ চাল মিল মালিকরা দেন। বাংলাদেশে ১৮ হাজার চালকল। করোনার সময় সব মিল-কারখানা বন্ধ থাকলেও ১ ঘণ্টার জন্যও চালকল বন্ধ থাকেনি। জনস্বার্থে কাজ করেছি। সরকার বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দিলেও আমরা খাদ্যমন্ত্রীর কাছে ১০ হাজার টাকা প্রণোদনা চাইলেও দেয়া হয়নি।
গতকালের সভায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার চালকল মালিক হাজী এরফান আলী, সংগঠনের উপদেষ্টা ও নেত্রকোনার চালকল মালিক এইচআর খান পাঠান সাকী, নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের রফিকুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলার সভাপতি আলহাজ নাজির হোসেন প্রধান, দিনাজপুরের প্রতাপ সাহা পানু, রংপুরের সামছুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।
অর্থসংবাদ/এ এইচ আর ১০:৫২/ ১১:২৬:২০২০